ইউক্রেনজুড়ে দফায় দফায় হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। গেলো দুইদিনে দেশটির বিভিন্ন গ্রাম ও শহরে শতাধিক বিস্ফোরকবাহী ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রুশ বাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে রুশ ভূখণ্ডে পাল্টা হামলা চালাতে চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি, কিন্তু তার সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছে পেন্টাগন।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কিয়েভকে হাজার হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং সামরিক সরঞ্জাম পাঠানো সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা বলে আসছে, রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলার জন্য ইউক্রেনকে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়নি।
মার্কিন সেনা সদরদপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার মঙ্গলবার বলেন, আমাদের নীতি পরিবর্তন হয়নি। ইউক্রেনকে আন্তঃসীমান্ত আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য মার্কিন সরবরাহকৃত অস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দেয়া হয়েছে কিন্তু রাশিয়ার ভেতরে হামলার জন্য নয়।
একদিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে বিধিনিষেধের নীতিতে "কোনো পরিবর্তন" হয়নি।
তবে ইরানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পার্সটুডে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র প্রাথমিক বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করেছে এবং কিয়েভকে রাশিয়ার ভূখণ্ডে আঘাত করার অনুমতি দিয়েছে। এর আওতায় ইউক্রেন তার নিজের বলে দাবি করা ভূখণ্ড ক্রিমিয়া থেকে জাপোরোজিয়া, খেরসন, দোনেস্ক এবং লুহানস্ক পর্যন্ত হামলা চালাতে পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।
এদিকে মস্কো বলছে, যুক্তরাষ্ট্র বা তার মিত্রদের পাঠানো অস্ত্র দিয়ে যদি রাশিয়ায় হামলা হয়, তাহলে রাশিয়া বিষয়টিকে প্রত্যক্ষ হামলা হিসেবে বিবেচনা করবে এবং যে দেশের অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হবে সে দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করবে।