দেশের ব্যাংকিং খাতে বইছে তীব্র সংস্কার ঝড়। অর্থনীতিবিদ ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকিং খাতের ভয়াবহ অবস্থার কথা তুলে ধরে আসলেও, পূর্ববর্তী সরকার তা আমলে নেয়নি।
তবে সরকার পরিবর্তনের পর ব্যাংকিং খাতের প্রকৃত চিত্র উন্মোচিত হতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এবং জনগণের জমা রক্ষায় কঠোর অবস্থান নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সূত্র জানায়, ১২টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে রয়েছে বিতর্কিত ব্যবসায়িক গ্রুপ এস আলমের নিয়ন্ত্রণাধীন ৭টি ব্যাংক।
এ তালিকায় থাকা উল্লেখযোগ্য ব্যাংকগুলো হলো:
ইউনিয়ন ব্যাংক
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক
ন্যাশনাল ব্যাংক
আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক
আইএফআইসি ব্যাংক
ইউসিবি ব্যাংক
পদ্মা ব্যাংক
অন্যদিকে, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেখানে একজন প্রশাসক নিয়োগ করা হতে পারে অথবা সম্পূর্ণ নতুন পর্ষদ গঠন করা হতে পারে।
সূত্র মতে, নতুন পর্ষদে ২০১৭ সালের আগের সদস্যদের আনা হতে পারে। উল্লেখ্য, ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে দুর্নীতিমুক্ত পর্ষদ গঠনের দাবি জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে চিঠি দেন ব্যাংকটির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এএসএম রেজাউল করিম।
এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রয়োজনে এস আলমের মালিকানাধীন সহ দুর্বল সকল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘এখন থেকে কেউ আর ব্যাংকের নিয়ম ভেঙে কিছু করার সুযোগ পাবে না।’